অদৃষ্টের পরিহাস - রণবীর পাঁজা


আকাশ জুড়ে মেঘের আনাগোনা সঙ্গে তীব্র বজ্রনাদ,
মানুষের কাছে এটা রোমান্টিকিজমের উন্মাদ।
অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস,
বস্তির জন্তুগুলোই যেনো  জাহান্নামের ক্রীতদাস।
আবার উল্টোটি বুর্জোয়াদের আনন্দের উল্লাস,
আশ্রয়হীন মানুষগুলোর ভ্রান্তিবিলাস।
একটি মেয়ে, বয়স বেশি না সাত আট নয় করে,
 খুব সুন্দর তাল ফেলছে অবাধ বৃষ্টির তরে।
          বেশ খাসা লাগছে না ?
      অবশ্যই!তা লাগবারই কথা।
 এর থেকেও বেশি সুন্দর, এই পৃথিবীতে,
          তা তো বোঝানো বৃথা।
  আছে বৈকি ,অনেক আছে।
বেশি দূরে না ,ঐ দেখা যায় বস্তিগুলোর কাছে,
ওদের তুমি বলো গ্ল্যামারাস!
         এ মা এ কি ভাষা? 
গায়ে গন্ধ ,কালো রংটাই আসল বিচার্য,
          বাকিটা হতাশা।
 ওদের হয়ে কেউ বলেনা, বললেই বা হবেই তো আর কি?
জীবনজুড়ে ভিক্ষে করেও ভাতে পড়বে কি ঘি?
হোলির সময় আপনি চলে আসে নীল সবুজ গেরুয়া,
মিটে যেতেই আর পাওয়া যায় না অস্তিত্বের ছায়া।
সম অসম বণ্টনের শিকার এরা সবসময়,
না ভোটার কার্ড, না রেশন কার্ড, জীবন বড়োই বিস্ময়!
সইতে না পেরে এরাও কখনো গর্জে ওঠে সরকারের বিপক্ষে ,
টুঁটি চেপে নামিয়ে আনা হয় দেশদ্রোহিতার স্বপক্ষে।
নেই কোনো আশা, নেই কোনো আলো,
জীবনের অগ্রগতি এদের না ভাবাই যেনো ভালো।
তবুও ভুলোনা এদের, দেখে করোনা খিল্লি,
 মনে রাখবে বাঘও আসলে কিন্তু একপ্রকার বিল্লি।
একদিন উঠবে জেগে এরা সবাই,
                 ধ্বংস হবে সব, 
 দেখতে পাচ্ছো না আসতে চলেছে ,
                  নতুন বিপ্লব।








You Might Also Like

4 Comments