"কবিতা কুটির" নজরুল স্মৃতি সংখ্যা - ১৪২৬, ডাউনলোড করা জন্য নিচের "Download" লেখা লিংকটিতে ক্লিক করুন
বটগাছটার অনেক বয়স। শুধু গাছটাকে জড়িয়ে ধরলে তবেই তার বুকের ধুকপুকানি শোনা যায়। সে সব দেখে, সব বোঝে কিন্তু কেউ তাকে চিনতে পারেনি শুধু ওই ছেলেটা ছাড়া। ছেলেটার একটা নাম ছিল, বলাই। বলাইকে আজকাল আর চোখে দেখা যায় না, হয়তো চাপা পড়ে গেছে কোথাও! তাই মনে হয় আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছিল গাছটা...
ছাদের আধশুকনো গামছাটা, লুকিয়ে রাখা গল্পেরবইটা, পড়ে থাকা একটাকার কয়েনটা সবাই দেখছিল হাঁ করে। পাশের বাড়ির অকেজো ছেলেটা মানে বলাই, বেশ কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ। ওদিকে কাকটা অনেকদিন পর ডাস্টবিন থেকে মাংস পেয়ে বেজায় খুশি, হয়তো মানুষের মাংসের স্বাদ কাকটার মনে থাকবে অনেকদিন...
এরপর শুধুই সময় পেরিয়ে গেছে। চলতে চলতে তারা গোনা স্বভাবের মানুষেরা বাঁচেনি বেশিদিন। বাস্তব চেনাতে গিয়ে গোলাপফুলের ইতিকথারা ঝরে গিয়েছে অকালে। নতুন সকাল আসবে বলে ডাক দিয়েছিল যারা, এখনও আকাশের দিকে তাকালে তাদের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়...
রংয়ের তাৎপর্য ...
সে তো নিছকই জীবনের খোঁজ !
লাল, গোলাপী কিংবা নীল
এদের ভাষা তো একই--
তারা সকলেই রং; ভালবাসার,
জীবনে ভালবাসাই তো রং।
মানুষের কথার পিঠে কথা
রংয়ের পিঠে রং, কেবলই রঙের প্রকারভেদ
হলুদ, সবুজ কিংবা বেগুনি
কখনো বসন্ত রাঙায় মন
কখনোও বা শরৎ -হেমন্ত
রঙের পিঠে রং, সুখের পিঠে সুখ
তাতেই হবে জীবন উন্মুখ।
আজও বসেছিলে ঠিক পিছনের সিটে,
বলার ছিল অনেক কথা,
কিন্তু কোন অজানা শক্তি দিল সব ঘেঁটে,
নিস্তব্ধতা জানিয়ে দিল বুকের ব্যাথা।
এসেছিলে মেঘবিহীন বজ্রপাতের মতন,
ক্রমেই বাড়ালো হৃদস্পন্দনের গতি,
একসময়ে হীরের থেকেও অমূল্য রতন,
রিংটোনেই প্রতিফলিত অবাধ উপস্থিতি।
চেনা পারফিউমটি কেনো অচেনা,
হাজার চেষ্টাতেও পারি না ধরতে,
ফিরে তাকানো কি একেবারেই সাজে না?
বেঁচে আছি যে মরতে মরতে।
কবিতা রোজ যার তরে কাঁদে,
মাথা লুকোয় আজ অন্যের কাঁধে।
কোথাও যেন থমকে গেছে পথ ,
দীঘির পাড়ে শুধুই নীরবতা
কাজল মেঘে আকাশ ঘনিয়ে এলে
বৃষ্টি নামার বিশুদ্ধ স্তব্ধতা ।
গাঁয়ের মাঠে তালগাছটাও একা
ঘন কালো মেঘ ঘিরেছে তাকে
গাঁয়ের বঁধুর নাগ কেশরী কেশ
একলা পথে চলছে কলস কাঁখে ।
রাখাল তুমি বাজিও না আড়বাঁশি
তোমার বাঁশি বড্ড হৃদয়কাড়া
দেখেছি তোমার কষ্টিপাথর দেহ
কালো মেঘের মতই মনোহরা ।
ঝড় উঠেছে মত্ত গাছপালা
ফুল গুলো সব আজকে বৃন্তচ্যূত
পাখির বাসা আছড়ে পরে পথে
মাটির বুকেও আঘাত লাগার ক্ষত ।
শেষ বেলায় উন্মত্ত সব হাওয়া
উড়ায় ধূলো , বন্ধ কপাট সব
কবির যত অলেখা পান্ডুলিপি
ঝড়ের কাছে মেনেছে পরাভব ।
তোমার ইন্দ্রিয় ভোগের তৃষ্ণাকে,
রেখেছো তুমি দমিয়ে।
আমি অপারক, তাইতো-আমার নাম, আজও ফেরে বেশ্যালয়ের করিডোরে।।
কেন তুমি জানো?
লাম্পট্য যৌবনের উদ্দাম নৃত্য, যেদিন নেচেছিলো
তোমার স্তন্য যুগলে.....
....করেছিলে আওভান, রূপ....রস...সকলি,
মাধুকরী করিতে।।
চরিত্রের চোরাবালিতে, বারংবার ঠেলে-
আত্মসুখের কালো গহ্বরে- ডুবেছিলাম সেদিন
প্রথম সূর্যোদয়ে......।।
মৃগনয়না,মায়াবিনীর ওই জাদুতে,
যেমত করিয়া ভ্রমরা ভুলে চিত্রতে.....তেমনি
.......হায়রে বিধাতঃ হায়!!
ঔদ্ধত্যের চরম সীমায় আজও- .....পড়েনি সিলমোহর,
তিলে তিলে চলেছি ক্রমশ মৃত্যুর সোপানে ।
আজ রয়ে গেছে শুধু তোমার আলিঙ্গন খানি,
দুশ্চরিত্রের চরম সীমায় আসিয়াছি আমি -
..দায়ী কে ? তুমি .....না আমি.....?
যোনি পিপাসাই শেষ কথা আজ,
বয়সে কী যায় আসে!
ধর্মের রং মেখে নিলে গায়ে-
আইনও থাকবে পাশে।
বলছ মুখে 'বাঁচাও নারী'
'শিক্ষা নারীর অস্ত্র', বদলে-
যৌনতা হল মাপকাঠি, তাই;
নারীরা আজ বিবস্ত্র।
উত্তর তবু মেলেনি, আরও-
চিন্তারা হল জড়ো,
এটাই নাকি স্বচ্ছ দেশের-
নমুনা সবচেয়ে বড়ো।
না ঘুমিয়ে জাগো হে সমাজ,
প্রতিবাদ শুরু করো, কারণ-
হাজার হাজার 'আসিফা'-ও হয়
তোমাদের ঘরে বড়ো॥
মেঘের মতো হালকা পরকিয়া প্রেম
ভালবেসে যারা থাকতে পারে
পরস্পর কে সম্মান দিয়ে
তারাই সুখী ---
জীবনের টালমাটাল স্রোতে
সমালোচিত জীবনের সাদা কালোর প্রদর্শনীতে
এ এক অসামান্য অভিজ্ঞতা ।
আশ্চর্য এই বন্ধনের পর্যালোচনা
শিল্পীত কাঠামোয় অভিপ্রেত ।
তেমনই সুচারুভাবেই
জীবনের পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত
সাবলীলতার স্রোতে ভেসে
দ্যুতি মুখ ও দ্যোতনাময় হয়ে উঠেছে
সামাজিক সম্ভ্রমের উপান্তে থাকা জীবন ।
চিরাচরিত শিল্প রূপ গুলি
অনুসঙ্গ হিসাবে অতিক্রমী
জনমানসে ঐতিহ্যানুসারী তার প্রতিভূ ।
সৃজনশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার
শৃঙ্খল থেকে মুক্ত ---
মনস্তত্ত্বে যাদের উৎসাহ
অদ্ভুত এক কল্পরাজ্য বোধ
নৈতিকতার প্রান্তস্পর্শী কল্পনায়
হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার সামগ্রী যেন ফিরিয়ে দিতে ও সমর্থ ।
সম্পর্কের আমন্ত্রণ একেবারেই আকস্মিক
গ্রহণযোগ্য অনুপ্রেরণা
সাংস্কৃতিক প্রান্তিকতার সঙ্গে
জীবনের সমস্ত সমস্যাকে
সপে দেওয়ার এই যে স্বপ্ন
এতোই আকস্মিক যে ---
অন্তর থেকে তার নির্বাসন অসম্ভব ।
স্বতঃ ভুলে আত্মাহুতি দিচ্ছে কিট কিংবা পতঙ্গেরা
ঠিক যেমন করে ঝাপ দিয়েছিলাম তোমার ভেতর।
যে আগুনটা জ্বালবো করে ডুবে ছিলাম,
সে আগুনটায় নিজেই জ্বলছি ফের অপরিণত সম্ভাবনায়
ধরো প্রেমবয়সী একটা নদী, ওপার তুমি এপার আমি
তুমি শুধু ভাঙচুর বেগে সুজলা সুফলা গড়ছো কেবল
আমি শুধুই শব্দ করে হুড়মুড়িয়ে ভাঙ্গছি দখল।
নদীটারে কেউ চেনে নামে কেউ চেনে প্রেমে,
আমি চিনি প্রেমে কিংবা অভিমানে!
অথচ তুমি চেন শুধু ভুলেই।
আমি তো আর অলৌকিক শ্রোস্টা নই।
আমি তো কোরআন লিখিনি
কোরআন, বেদ, বাইবেলেও
মস্ত, মস্ত ভুল পাওয়া যায়।
আমারতো ভুল হতেই পারে!
এবেলায় শুদ্ধ করে দেখো স্মৃতির ভুল ত্রুটি
তবেই নাহয় পড়ে দেখ আমিও কেমন সুপাঠ্য বই!
ঈশ্বর, ওরা পাথর ভেঙ্গেছে,
তোমায় পারেনি ভাঙ্গতে।
এমনটা যে হওয়ারই ছিল
সে কথা তুমিও জানতে।
জীবদ্দশায় স্বয়ং লড়েছ
চারিপাশ প্রতিকূল,
আদর্শটাই এখনো লড়ছে
ওটাই চক্ষুশূল।
যুক্তিবাদীতা প্রগতিশীলতা
জ্ঞানের মন্ত্র তুমি,
তোমার স্বপ্ন গায়ে মেখে আছে
আমার জন্মভূমি।
অক্ষরে বাঁচো, লড়াইয়েও আছো,
মননে সুরক্ষিত।
আধুনিকতায়, ওরা ভয় পায়,
ভীষন উত্তেজিত।
আজকে তোমায় আগলে বাঁচার,
শপথ বাংলা নিক,
গোড়ামির মুখে চাটি মেরে তুমি
এখনো প্রাসঙ্গিক।
জীবন নিজেকে তৈরি করে নেয় ---
হয়তো অহরহ নতুন করে তৈরি করে
কতো হৈচৈ, কতো সমস্যা ।
কখনো কখনো জীবন ধারার উপর
আকস্মিকতার ছায়া পড়ে ।
তবুও -----
জীবন জিজ্ঞাসা তাড়িত হয়ে নানান বৈচিত্রে ।
দিন যাপনের ব্যবস্থায়
জীবন বয়ে যায় বিভিন্ন প্রবাহে ।
কিন্তু ----
চেতনা স্থবির , স্থানু হয়ে কোথায় যেন তলিয়ে থাকে --
অতি সঙ্গোপনে ।
তারপর ----
আবার ঋজু সরল রেখায় এগিয়ে যায় সে ।
প্রতি মূহুর্তে এগিয়ে চলে
পরিতৃপ্তি - অতৃপ্তির পরিতৃপ্ততা নিয়েই
তার সার্থকতা ।
সে জানে ----
স্বার্থান্বিত চাওয়া কখনো ই
আপন প্রকোষ্ঠে স্থিত থাকে না ।
ব্যক্তি জীবনের প্রাচুর্যতা
চিন্তার প্রবাহ কে উত্থাপন করে ।
পক্ষ - প্রতিপক্ষ উভয়ের মধ্যে তৈরি হয়
যোজন তফাৎ ।
তখন ই জীবন ধারার উপর ---
তৈরি হয় নানান পরিকল্পনা ।
জীবন যাপনের বিভঙ্গই তৈরি করে মানসিকতা ।
আর ---
জীবন ধারাই গড়ে তোলে চেতনাকে ।
ভেঙেছে গুজরাট , ভাঙছে প্রদেশ,
অন্তিম মুহূর্তে বাংলাও সেই দলে,
খতম হতে থাকা বিবেকদর্শন ভুলে,
ঘাড়ে পড়ছে শেষ দীর্ঘনিশ্বেস।
চারিদিকে ভেঙে পড়ছে মূর্তি ,
বইছে খোল করতালে পাশবিক উদ্দাম নৃত্য,
মাটিতে মিশছে সুমধুর স্মৃতি,
বিনা বাক্যব্যয়ে মানুষ পুরাতন ভৃত্য।
লেনিন না হয় রাশিয়ার ,
কি হবে তাকে রেখে?
পড়েছিতো আমি শেকসপিয়ার,
বর্ণপরিচয় দেখেনি চেখে?
মধুসূদন বোকা তুমি, লিখেছ ত ভুল লোককে নিয়ে,
এই বাঙালি চালাক আমি, বেশ করেছি উচিত শিক্ষা দিয়ে।
একটা ছাত চেয়েছিলুম। তারি নিচে
অবসরের বিছানা বিছাব বলে,
অন্ধকার আমায় করল বিবসনা ।
মনসেগুনে খোদায় কাঠে পালিশ করা
চুপদুপুরে আঁকড়ে কোলে বালিশ ধরা
দলছুট যত সময়কণা।
মোহিত বিকেল ছেড়েগেছে
ভাব আঙুলের এক একটা পাব
তবু, গজল হয় একদূর কাছে থাকা।
কত শত তারা নামে
পালকের প্যারাসুট বেয়ে
অকৃপণ আলো ঢাকে আঘন রূপকথা।
চঞ্চলতার ঘুঙুর পায়ে
উঠে আসি ছাতের 'পরে
সারাগায়ে আঁধার ট্যালকম।
প্রহর জুড়ে প্রহর শেষে
গ্রন্থীখানি হাতড়ে দেখি
অমৃতার সম্পৎ সরগম ।
প্রশ্ন করছ তুমি ?
প্রশ্ন করাও কি তবে পাপ?
উত্তরটা যে ভাই বড্ড দামী,
তাই পাওয়াটা বড়োই চাপ।
কেনো মরবে দেশদ্রোহীর তকমায়?
বাঁচতে চাও না হয়ে হিন্দুস্তানি?
যখন সস্তার রামনামে বিশ্বাস মিলায়,
কি করতে হতে যাবে পাকিস্তানি?
বন্দুক ধরলে তুমি মাওবাদী,
মারা যাবে কুকুর ছাগলের মত।
এগিয়ে আসবে না কোনো প্রতিবাদী,
মিথ্যা আশায় এগোচ্ছ যত।
এই আশাতেই কি লক্ষ বিপ্লবী দিয়েছিল বলিদান?
গরুর দাম মানুষের থেকে বেশি,এটাই তাদের যোগ্য প্রতিদান।
নোংরা আমার দিব্যি লাগে
গুটখা থুতু মাখছে শহর
বিশ্রী নেতায় হাসছে হোডিং
ভোটের বাজার ব্রেকিং খবর
এরই মাঝে রেওয়াজ করে
হাজার কচি কাঁচার গলা
কদর্যতা আমার ভাষায়
বেরসিকের মতন চলায়
এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ
দুরেই থাকেন আস্তাকুঁড়ে
নোংরা আমার স্মার্টের ফোন
আর জঘন্যতা মগজ জুড়ে
পঁচিশ তারিখ তারই মাঝে
বাউল হয়ে বাড়াচ্ছে হাত
"কবীর সুমন" একলা বাজান
গ্র্যান্ড পিয়ানোয় রবীন্দ্রনাথ ।
কোথা পাও এতো সহনীয়তা ? মাগো!
দশ মাস - দশ দিন গর্ভে করলে ধারণ,
দিয়েছি তোমায় অসীম যন্ত্রনা
তোমার গর্ভ হতে করেছি কত জ্বালাতন।
রাত-দিন সয়েছ অস্ফুট নিপীড়ন।
মাগো! বলোনা কোথা হতে পাও,
এতো দহন সহ্যের রচনা?
শুধু কি পেটের সন্তান দেখার প্রেরণা?
বাড়িয়েছি তোমার দায়িত্ব এসে এই দুনিয়ায়,
যত্নের আলিঙ্গন দিয়েছ আমায়।
না খেয়ে খাইয়েছ আমায়,
নিজের কথা ভাবনি,
মাগো!আমায় করেছ ঋণী।
স্বার্থের এই দুনিয়ায়,
আপন বলে কেউ নেই
তোমার পায়ে আমায় দিও ঠাঁই।
অভিমানী চোখে অনিন্দ্য স্নিগ্ধতা গুলে রাখা ....রূপকথা ঘনিয়ে এসেছে কান্না মেশানো সাদা জলে....
দুঃখ বোধ আসলে অতিব্যবহৃত
ক্লিষ্ট বয়ানের যক্ষ দলিল ।
এ অনির্বচনীয় সবুজের , আকাশনীলের
প্রভাতফেরীতে-- এই অযান্ত্রিক তিমির মিছিলে , নবান্নের উল্লাসযামে ....
অভিমান ......
প্রকৃত প্রস্তাবে বিমুগ্ধ আলোরসে সীমিত সমর্পন অফুরান মহাকাব্যের।
অকার্যকর যতিচিহ্নের অফুরন্ত সমাবেশ....
একটি নিরন্তর শূন্যতা অভিমানী চোখে নিমন্ত্রিত হলে
এ রৈখিক নিমগ্নতা -
অনিঃশেষ সমীক্ষণে অনিঃসীম পরিক্রমা .....ভ্রমণে....ভ্রমণে....।
চলোনা শুরু করি আরও একবার
হাতে হাত রেখে পথ চলা,
একই স্রোতে ভেসে যাওয়া
একই পৃথিবীর এক সীমাহীন প্রান্তর থেকে অসীম হয়ে যাওয়া।
চলোনা আরো একবার দুজনার খেয়াল রাখি।
চলোনা হারিয়ে যাই ওই মাদকতার হাসিতে,
আর হারিয়ে যেতে চাই তোমার ঐ আঁখিতে।
এইভাবেই চলোনা সাজাই একটা নতুন পৃথিবী।
যেখানে আমরা এক হবো,
যেখানে আমি তোমার মস্তিষ্কে নয় হৃদয়ে রব।
সেই ট্রেন এ যেতে যেতে তোমাকে দেখতে পাওয়া,
জানলার বাইরে দেখছিলে তুমি আর আমি তোমাকে।
নাহ্ স্টক করিনি,সেতো আজকাল লোকজন বলে।
আমি শুধু তোমাকে দেখছিলাম বা হয়তো তোমার রূপের মাধুর্য্যে ডুব দিয়েছিলাম
কিছুক্ষন পর মনে হলো না থাক..
হঠাৎ দেখায় মন জড়িয়ে নেওয়া ঠিক নয়, চোখ জুড়িয়ে যাক বরং।
হয়তো তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে বসে তোমার পথ চেয়ে,
হয়তো বা একটু আগেই ব্রেকআপ হয়েছে,মনের দুঃখে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখছিলে তুমি,
এই তুমি টাকেই মনে রাখতে চাই সারাজীবন।
ক্রাশ নাকি ইনফ্যাচুয়েশন?নাকি তোমার হঠাৎ তাকানো তে বুকের বা দিক টা চিনচিন করে ওঠা?
কে জানে কি লাভ ভেবে ছাইপাশ!!
তার চেয়ে থাকো তুমি ট্রেন জার্নির একটা গল্প হয়ে..
কখনো ট্রেন এ আবার উঠলেই সেই সকাল টা কে মনে করব আর ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে থাকবে,
লোকে পাগল ভাবতেই পারে তাতে কিছু যায় আসেনা,থেকো আমার সাথে সারাজীবন মস্তিষ্কের এক কোণে,
আমার,অচেনা তুমি।
"কবিতা কুটির" রবীন্দ্র জন্মসার্ধশতবর্ষপূর্তি সংখ্যা - ১৪২৬
- May 09, 2019
- By Kabita Kutir
- 0 Comments
'কবিতা কুটির' রবীন্দ্র জন্মসার্ধশতবর্ষপূর্তি সংখ্যা - ১৪২৬ ডাউনলোড করা জন্য নিচের "Download" লেখা লিংকটিতে ক্লিক করুন
মাঝরাতে ড্রয়িংরুমে আলতো স্পর্শের ভয়,
কেনো জানি না রাত ১২ টায়, সে হাজির হয়।
জানালা বন্ধ সাথে দরজায় মস্ত বড়ো খিল,
কোনো বাধা মানে না সে, মায়াবী মতিঝিল।
জীবিতর প্রেমে পরেছি অনেক, গিলেছি তাদের মোহনা,
অশরীরী প্রেমে পরিনি আগে, বুঝিনি এ কেমন যাতনা?
কিন্তু সেদিন রাত ১টা, এখনো সে আসেনি,
কি হল আজ? এতো দেরি সে কোনোদিন করেনি।
হঠাৎ দেওয়াল ঘরি জানালো আমায়, 'তুই তো দেহ প্রেমি'।
কিন্তু,
তার তো কোনো দেহ নেই? শুধু আছে ভালোবাসা আর আমি।
রাত তখন ২টো, খোলা চুলে মুখ ঢেকে হাজির হলো সে ,
মায়াবী উন্মাদনায় বন্দী হৃদয়, ব্যাকুল কণ্ঠে বলে উঠলো, 'বড় দেড়ি করলে যে'?
এলোমেলো চুলে, আবছা শরীরে, মৃদু হাসি যেনো কঙ্কাল সম,
একটু ভয়ে, অনেকটা সাহসে, কলমে একলাইন, 'তুমি হৃদয়ে মম'।
আমি চাই না, অশরীরীর তার নিজস্ব শরীর ফিরে পাক।
আমি চাই না, তার শরীরে আবার সেই রক্ত মাংসের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি জন্মাক।
শুধু চাই, তার আগমনীতে, ঘরময় স্তব্ধতা আরও যেন দ্বিগুন বেড়ে ওঠে,
সেই গভীর নিস্তব্ধতায় আমার নিঃশ্বাসে, তার অদৃশ্য দেহে যেন শিহরণ ফোটে ।
হ্যাঁ! আমি অশরীরী প্রেমে পড়েছি।
রোজ মাঝরাতে তার আভাস খোঁজার চেষ্টা করেছি।
তাকে ছুয়ে দেখার উন্মাদ অভিপ্রায় কোনো দিন হয়নি,
কারণ,
আমি কোনো শরীরের নয়, এক মায়াবী অশরীরী প্রেমে ভৈরব যামিনী।
মুক্তির খোঁজে চলেছি আমি,
চাপা শঙ্কায় করছি বাস,
নিজের সাজানো গোলামিতে আজ-
নিজেই নিজের ক্রীতদাস।
মিথ্যে হাসিতে মাথা ঝুঁকিয়েও,
পিছু হটেছে মুখের গ্রাস,
প্রতিবাদটা কর রে যদি-
মানুষের মতো বাঁচতে চাস।
বুর্জোয়াদের লাথি-ঝাঁটা সয়ে,
মিটে গেছে কী মনের আশ?
পরিণামটা জানি, এবার-
টানবি গলায় দড়ির ফাঁস!
মানুষ হয়েও কুকুরের মতো,
পা চাটিস তোরা মাস কে মাস,
চুড়ি পড়ে সব বসে থাক তোরা-
এক একটা সব জীবন্ত লাশ॥
বাড়ি ঘর জুড়ে দিবা- রাত্রির কাব্য ফেরে
সিলিঙের ঝাড়বাতি আলো জোগায় অচেনা ভোরে
আবার যদি ফিরে আসিস;সমস্ত ভুল বুঝতে পেরে
এবার বলবো পারলে আমার শরীর থেকে অশান্তি নে
ঝুটঝামেলায় জড়াস কেন;কেন এতো কষ্ট পাস
যা তোর কোনো দিনই নয় তাকে কেন পেতে চাস
সময় হয়েছে আমার মতো মনেও জমেছে মেঘ
অশ্রু- কণা পরছে খোসে দুই বাগিচার মধ্যে থেকে
খুলছে মুখোশ যাচ্ছে চেনা ফাকা ফ্রেমের সব অভিনয়
তবু তোর শরীর শুধু নিছক প্রেমের কাঁদুনে গায়
অন্ধকারে আধবোজা চোখ খুলে জানান দেয় মাঝরাত
যার অভিঘাতে যৌনতা আমার ধুয়ে মুছে সাফ
তাদের মাথায় পড়ুক ভেঙে বাজ
যারা নতুন নতুন মন ভাঙছে রোজ
কে আর বাকি রইলো শেষে
সবাই অপরাধীর বেশে ভালো থাকার করছে পরিহাস
আজও তাই কাব্য করি,ফেলি লিখে অনেক কিছু
শব্দজালে জড়ায় তোকে তোর তুলনায় সবাই নিচু
চটজলদি সময় গড়াই;এক পলকেই বছর কাবার
রাগের মাথায় করা অভিশাপ;লাগুক সব আমার উপর
দুঃখ-কষ্ট আমি নেবো; বোঝায় করবো বুকপকেটে
আমার মতো কষ্ট যেনো; না ঘিরে থাকে তোকে
স্বর্গ- সুখ করিস যাতে লাভ
করবো ব্রত, রাখবো উপবাস
তোর খুশিতে ছাড়তে পারি জগৎ- সংসার
কারণ, ভালোবাসার খেলায় তোকে করেছি কিস্তিমাৎ
এমনিতে সুবল ভালই থাকে । বিশেষ কোন কাজকম্ম নেই, আয় নেই, খরচও তেমন নেই । একটা বাপ ঠাকুরদার পুরনো বাড়ি, নিচে তিনটে দোকান ভাড়া দেওয়া, তাও সেই কত বছর । ওই দোকানের ভাড়া, আর বাবার রাখা কিছু ফিক্সড ডিপোজিট, দিব্যি কেটে যায় সুবলের । তিন কুলে কেউ নেই, বিয়ে করা বউটা সুবলকে ছেড়ে কত বছর চলে গেছে মনেই পড়ে না । দুবেলা সামান্য ভাত ডাল ফুটিয়ে নেয়, তাও রাতের বেলা অনেক দিন খাওয়াই হয় না । এক বোতল বাংলা কিনে আনে, একাই শেষ করে ফেলে । তারপর খেতে ইচ্ছে হলে খায় না হয় ফেলে দেয় । গলির বাদামি রঙের কুত্তাটা তখন চেটে পুটে খায় ওর রান্না । বাংলা গিলে সেই যে ঘুমায় তারপর যখন চোখ খোলে তখন ফ্যাকাসে দেওয়াল ঘড়ি জানায় বেলা দশটা ।
কিন্তু ইদানিং খুব সমস্যা হচ্ছে, কারণ ওই বাদামি কুত্তা । শালা রাতের বেলা খেতে না পেলেই এমন চিৎকার জুড়ছে যে ঘুমের বারোটা । আর একবার ঘুম না এলে খুব কান্না পায় সুবলের, খুব নিজের ছোটবেলা, ভরাট সংসার মনে পড়ে । কান্না সুবল দুচোখে দেখতে পারে না । কুত্তাটা বেশ ক'বছর ওদের গলিতে, কেমন একটা মায়া ছিল, কিন্তু এখন দু চোখে দেখতে পারছে না ওটাকে ।
তাই ভাল করে ইঁদুরের বিষটা ডালে মেশালো । কেনার সময় ছোকরাটা বলেছিল খুব তেজী বিষ দাদা, বাচ্চাদের থেকে দূরে, মানুষ খেলেও মরবে । সুবলের আবার বাচ্চা । বোতল খাবার আগেই ডাল, ভাত দিয়ে এলো । হারামীটা এসেছে, দেওয়া মাত্রই গপগপ করে গিলছে । আহ, সুবল নিশ্চিন্ত । জমিয়ে খেল বোতলটা, বৃষ্টি নেমেছে, কী আরামের ঘুম আজকে, আর কুত্তাটা জ্বালাবে না, কোনদিন জ্বালাবে না ।
সুবল গত এক সপ্তাহ ঘুমাতে পারছে না । রাতটা গিলে খেতে আসছে, দু'বোতল বাংলাতেও কাজ হচ্ছে না, চারদিকটা কীরকম ভয়ঙ্কর নিস্তব্ধ, কোন আওয়াজ নেই, শুধু ফ্যাকাসে ঘড়ির টিকটিক । এই নিস্তব্ধতা ওকে গিলে খাচ্ছে, সুবল বড় একা হয়ে গেল ।
আকাশ জুড়ে মেঘের আনাগোনা সঙ্গে তীব্র বজ্রনাদ,
মানুষের কাছে এটা রোমান্টিকিজমের উন্মাদ।
অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস,
বস্তির জন্তুগুলোই যেনো জাহান্নামের ক্রীতদাস।
আবার উল্টোটি বুর্জোয়াদের আনন্দের উল্লাস,
আশ্রয়হীন মানুষগুলোর ভ্রান্তিবিলাস।
একটি মেয়ে, বয়স বেশি না সাত আট নয় করে,
খুব সুন্দর তাল ফেলছে অবাধ বৃষ্টির তরে।
বেশ খাসা লাগছে না ?
অবশ্যই!তা লাগবারই কথা।
এর থেকেও বেশি সুন্দর, এই পৃথিবীতে,
তা তো বোঝানো বৃথা।
আছে বৈকি ,অনেক আছে।
বেশি দূরে না ,ঐ দেখা যায় বস্তিগুলোর কাছে,
ওদের তুমি বলো গ্ল্যামারাস!
এ মা এ কি ভাষা?
গায়ে গন্ধ ,কালো রংটাই আসল বিচার্য,
বাকিটা হতাশা।
ওদের হয়ে কেউ বলেনা, বললেই বা হবেই তো আর কি?
জীবনজুড়ে ভিক্ষে করেও ভাতে পড়বে কি ঘি?
হোলির সময় আপনি চলে আসে নীল সবুজ গেরুয়া,
মিটে যেতেই আর পাওয়া যায় না অস্তিত্বের ছায়া।
সম অসম বণ্টনের শিকার এরা সবসময়,
না ভোটার কার্ড, না রেশন কার্ড, জীবন বড়োই বিস্ময়!
সইতে না পেরে এরাও কখনো গর্জে ওঠে সরকারের বিপক্ষে ,
টুঁটি চেপে নামিয়ে আনা হয় দেশদ্রোহিতার স্বপক্ষে।
নেই কোনো আশা, নেই কোনো আলো,
জীবনের অগ্রগতি এদের না ভাবাই যেনো ভালো।
তবুও ভুলোনা এদের, দেখে করোনা খিল্লি,
মনে রাখবে বাঘও আসলে কিন্তু একপ্রকার বিল্লি।
একদিন উঠবে জেগে এরা সবাই,
ধ্বংস হবে সব,
দেখতে পাচ্ছো না আসতে চলেছে ,
নতুন বিপ্লব।
আমি দেখতে চাই
কোন এক পরপুরুষ তোমার জন্যে
গোলাপ নিয়ে ছুটে আসছে,
কোন এক সদ্য যুবক
তোমায় না পেয়ে
পড়ে আছে রেললাইনে।
তোমার জন্যে ঘর ছেড়েছিল যে কিশোর
তার পা এখন পেশিবহুল
শক্ত কঠিন হাত
পরণে ছেঁড়া জামা
মাথায় রুক্ষ চুল
তোমায় পাইনি সে কোনদিনও,
আমি দেখতে চাই
তুমি হাঁটছ
কোন এক পুরুষের পাশাপাশি
তবুও সে তোমায় ছুঁতে পারছে না,
কিন্তু আমি চাইলেই তোমার
চিবুক ছুঁয়ে চুমু খেতে পারি,
তোমার বাহুতে স্পর্শ করতে পারি,
তোমার কোমলের মত বুকে
মাথা রেখে ঘুমতে পারি সারারাত।
আসছে ছুটে ভয়ঙ্কর তাল গাছের বোঝা
হাতির দল, কামান দাগায় যুদ্ধ নয় সোজা।
ওরে পালা তোরা, পালা পালা, মরবি তোরা
সাহস নেই, বুদ্ধি নেই, অহংকারের ঘোড়া।
তবে তোরাই বলিস নাড়ির টান!
কাপুরুষ মিথ্যেবাদী, নেই কোনো সম্মান!
নারীর রক্ত, নারীর কাজ, বলিস তোরা নারীর লাজ
কোথায় তোদের কথাগুলো, কোথায় তোদের রাজ?
এখনই হবি খানখান, রক্তে মাখা তলোয়ার
বিষে বিষে শেষ হবি, প্রতিরোধ পারবি? সাহস আছে কার?
মনে পড়ে, তাদের কথা! অসুর নিধন?
মনে কি পরে তেজের সাহস, স্বর্গ জ্বালাতন!
কি বা ছিল! ছিল নাড়ির টান,
অস্ত্র নিয়ে মাতৃশক্তি গায় জয়গান!
আমরা এখানে ভীতু প্রাণী, সাপের কাছে ভয়
শত্রু এলে খড়ের গাদায় লুকায় সংশয়।
বর্গী এসে নিয়ে গেছে সোনার সিংহাসন
নিজের জিনিস পরের কাছে, নেই আগ্রাসন।
কি বা আছে দিয়েছি তো দেশের, নিজের তো নয়,
দেশ আর নিজের কাছে অনেক পার্থক্য তাই না!
নেই যে টান নাড়ির, ও যে অবলা
স্বার্থ বড়, মিথ্যা নাড়ি, সবই অবহেলা।
যারা ছিল প্রাণ, দিয়েছে সম্মান
নাড়ির টান নারীর কাছে উপদ্বীপের জয়গান!
লড়ব একাই, আসুক ওই সাদার দল
মিথ্যে বলে জিতবে না কেউ, যদিও করে ছল।
আবার ঝরে পড়বে রক্ত, লেগে যাবে কাপড়ে,
নাড়ির তীরে মরবে ওদের দম্ভের অস্ত্র।
ওরে দেখ ওই দেখ আসছে তেড়ে রণের দল
না জানি অর্থ, নাড়ির টান যুদ্ধ অনিবার্য।
পালাব না , পালাব না, মরব আর মারব,
থাক দাঁড়িয়ে দেখি ওদের সাহস কেমন,
নারীর কাছে অস্ত্র ধরার শাস্তি ও পাবেই।
ওই দেখ ধর ধর, পালায় ভয়ে, ধর ওকে
এদের দেখে আমরাই নাকি পাচ্ছিলাম যত ভয়।
কুঁয়োর ব্যাঙ রে ওরা, মার মার, ধর ধর।
নাড়ির টানে নারীর শক্তি, নারীর কাছে জয়,
সাহস হলে রক্তে মাখাও সব মিথ্যা ভয়।
কে মারে তোমায়,জতুগৃহে ধরাও আগুন,
ফেরাও শত্রু, সাহস প্রাণে ভাঙো দুর্বল ঘুন।
তোমায় আবিস্কার করেছি অন্যরুপে-
এ যেন অন্যকেউ,
ভ্রুযুগলের মিলন উৎকন্ঠাতে,
ভাষারা রুপ নেয় গোলাপি ঠোঁটের পরিণয়ে,
হলুদাভ দু-চোখের পাতাতে ওঠে অনন্য শিহরন,
ঝলমল করে ওঠে পাতায় বসে সূর্যের বিন্দুকনা,
এ যেন সাজানো মুক্তোদানা।
তবুও তোমায় বলতে পারিনি,
অন্যসব পুরুষদের মত হতে পারিনি,
এক অপরুপ দৃশ্যের অবতারনা,
যাতে ছিলাম আমি বিভোর,
মনে মনে বলছিলাম -
অপূর্ব তুমি! সত্যিই অসাধারণ।
দিন যায় রাত নামে আবার রাত শেষে আসে দিন,
ধারাবাহিক চলতে থাকে জীবনটা আসলে ক্ষীণ।
কিছুই না পাওয়া বেকার যুবকটি চেয়ে নদীর পানে,
আপন মনে ভাবতে থাকে জীবনের অন্তর্নিহীত মানে।
একসময় ছেলেটা ছিল খুব প্রফুল্ল , আনন্দ ছিল মনে,
সৃজুক্তা নামে প্রেমিকা ছিল ইতিহাসের কোনো এক ক্ষণে,
শুরুটা হয়েছিলো কলেজ লাইফে, বেশ গাড়ও হয়েছিল প্রেম,
ব্যর্থ হয়ে বললো ,প্রেমটেম আসলে কিছুই না ,সবই চিরন্তন গেম।
প্রথমে সাইন্স, তারপর পড়েছিলও ইঞ্জিনেরিং ,
চাকুরি হবে জল ভাত, তাই নো কেয়ারিং।
কিন্তু পড়া শেষে যেই জুটলো না কোনো চাকরী,
কঠিন হয়ে যেতে জীবনটা করল না সামান্যও দেরি।
হতে চেয়েছিল সে এক কবি ,বলেওছিলো মাকে,
বিনা চাকরিতে পুরো পাড়া বেকার বলে ডাকে।
তার দুঃখ কেউ বোঝে না, তাকে পোছেনা কেউ,
পেনদুটিই একমাত্র সম্বল ,জীবন জুড়ে শুধু ঢেউ।
এইভাবেই কেটে গেছে জীবনের ২৬ টি বসন্ত,
৫ টাকার বিড়ি-দেশলাই ,এটি কিনতেই সে সর্বস্বান্ত।
আচমকা চোখ বোজাতেই সে দেখতে পায় আশার আলো,
অনেক তো হলো এবার তাহার মরে যাওয়াই যেনো ভালো।