ধোঁয়া ওঠা চায়ের ভারে,
পথ চলতে চলতে কনুইর ঠোকাঠুকিতে,
কখনও ট্রেনে শত ভিড়ের মাঝে চোখাচোখিতে,
কখনও গঙ্গার ধারের শীতল বাতাসে,
কখনও দীর্ঘক্ষণের আবেগী বার্তালাপে -- ভালোবাসা হয়ে যায়।
জাত-পাত-ধর্ম-অর্থের বেড়াজালে শরীর বাঁধ মানলেও ভালোবাসা যে মুক্তি অভিলাষী।
যে মেয়েটি সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে তোমার চোখের রঙ মাখতে ছুটে যায় মাইলের পর মাইল,
যে মেয়ে জিন্স-টপেতে নয় বাঙালি বেশে তোমার মন কাড়তে ব্যস্ত,
সেই মেয়ে তোমার মনে ধরে না কেন?
বৃষ্টিভেজা রাতে একলা অপেক্ষারত তোমার মুখ দেখবে বলে,
যে মেয়ে নুপুর পড়ে তোমার নিঃসঙ্গ রাতের মায়া হবে বলে,
তাকে কেন এত অবহেলা?
বলি, ভালোবাসায় --ধর্ম-বর্ণ-জাত-অর্থ-গায়ের রঙ সব দেখতে হয় বুঝি?
জমকালো মনটাকে পড়া যায় না?
ভালোবাসাকে দুয়ারে দুয়ারে না খুঁজে,
ভালোবাসি বলে ঐ অবলা মেয়েটিকে কী একবার জড়িয়ে ধরা যায় না?
কথার জালে তাকে বন্দী করে কেন বারংবার কর ছল?কেন এই বেইমানি?
মন থেকে কেন বলো না,চলো দুজনে মিলে একলা জীবনে একমুঠো সুরেলা প্রেম আনি?
0 Comments