১৬ ই জুন করবেন
পিতৃ দিবস পালন?
ছেলে- পিতা- বৃদ্ধ
হওয়া করি বর্ণন।
একটি ছোট্ট ছেলে
লালনে ওঠে বেড়ে।
গড়ল নিজ সংসার
মেয়েকে বিয়ে করে।
কয়েক বছর বাদে
হল সন্তানের পিতা।
যুগল জুটি ভাঙল,
একি করল বিধাতা!
ছেলে-মেয়ের বাপ
করল সব কর্তব্য।
সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত,
এবার বাপ হল বৃদ্ধ।
বৃদ্ধকালে কি বৃদ্ধাশ্রমে?
সাদরে রহে পরিবারে।
বৃদ্ধের জন্মদিন পালন
হয় সন্তানের উপহারে।
শয্যাশায়ী হলেও তো
পায় বৃদ্ধ আদর যত্ন।
জীবনে অপার সুখ,
সন্তানেরা সত্যি রত্ন।
নিজের প্রিয় পরিবার
নিয়ে ভরাট সংসার।
বিপ্তনীক বৃদ্ধের তো
সংসারে দরকার।
সুখের সংসারে পূরণ
বৃদ্ধের শতবর্ষ বয়স।
সন্তানরা শ্রদ্ধায় করে
পালন "পিতৃ দিবস"।
একতাই বল আনে জানি,হবে তাই জোট বাঁধতে।
বিন্দুবিন্দু জলে গড়ে সিন্ধু, কথাটি হবে মনে রাখতে।।
একা যে আমি বড়ো বোকা,তুমি যদি থাকো সাথে।
সব বাধা করবোই জয়,পারবেনা কেউ কখনোই টলাতে।।
জীবনের পথ বড়ো দুর্গম, কাঁচ কাঁটা বারুদেতে ভরা।
রাক্ষস খোক্কস, ডাকিনী যোগিনীতে পূর্ণ হয়েছে এই ধরা।।
বিন্দুবিন্দু জলে গড়ে সিন্ধু, কথাটি হবে মনে রাখতে।।
একা যে আমি বড়ো বোকা,তুমি যদি থাকো সাথে।
সব বাধা করবোই জয়,পারবেনা কেউ কখনোই টলাতে।।
জীবনের পথ বড়ো দুর্গম, কাঁচ কাঁটা বারুদেতে ভরা।
রাক্ষস খোক্কস, ডাকিনী যোগিনীতে পূর্ণ হয়েছে এই ধরা।।
এসো বন্ধু, হাতে রাখো হাত, পিশাচের সাথে হবে লড়তে।
শয়তানের শয়তানি পুড়িয়ে,, নতুন সমাজ হবে গড়তে।।
ভেঙে দাও ঘুঘুদের বাসা, কাটমানি,সিণ্ডিকেট দাও উড়িয়ে।
পাপীদের মুখোশের প্রাসাদ,বিপ্লবের ঝড়ে দাও গুড়িয়ে।।
চেতনার জোয়ার আসুক আমাদের সকলের হৃদয়ে।
জ্বলছে সন্ত্রাসের আগুন,তবু থাকবোনা আমরা ভয়েভয়ে।।
লুটেপুটে খাচ্ছে যারা,দেশের সব ধনরত্ন, দিতে হবে শাস্তি তাদের।
আসবে সুখ শান্তি তবেই। এই প্রিয় দেশ আমাদের।
এই দেশ তোমার আমার, সকলের সমান অধিকার।
তবে কেন বিভেদ এত,,ধনী দরিদ্রে? কেন এত হাহাকার....?
শয়তানের শয়তানি পুড়িয়ে,, নতুন সমাজ হবে গড়তে।।
ভেঙে দাও ঘুঘুদের বাসা, কাটমানি,সিণ্ডিকেট দাও উড়িয়ে।
পাপীদের মুখোশের প্রাসাদ,বিপ্লবের ঝড়ে দাও গুড়িয়ে।।
চেতনার জোয়ার আসুক আমাদের সকলের হৃদয়ে।
জ্বলছে সন্ত্রাসের আগুন,তবু থাকবোনা আমরা ভয়েভয়ে।।
লুটেপুটে খাচ্ছে যারা,দেশের সব ধনরত্ন, দিতে হবে শাস্তি তাদের।
আসবে সুখ শান্তি তবেই। এই প্রিয় দেশ আমাদের।
এই দেশ তোমার আমার, সকলের সমান অধিকার।
তবে কেন বিভেদ এত,,ধনী দরিদ্রে? কেন এত হাহাকার....?
ফুটপাথে পথশিশু , কাঙাল ভিখারি, বেকারের কেন আর্তনাদ??
দেশের সুদিন এলো ফুরিয়ে,সামনেই দেখো বড়ো খাদ!!
কে বাঁচাবে এই পচা সমাজ? এসো সবাই একসাথে।
দড়ি ধরে মারো টান,,দুর্নীতির ইমারত লুটিয়ে পড়বে ধুলোতে।
দেশের সুদিন এলো ফুরিয়ে,সামনেই দেখো বড়ো খাদ!!
কে বাঁচাবে এই পচা সমাজ? এসো সবাই একসাথে।
দড়ি ধরে মারো টান,,দুর্নীতির ইমারত লুটিয়ে পড়বে ধুলোতে।
বলছি শোনোএকটা কথা আসছে মহাপুজো,
মা দুর্গার আগমনে সবাই খুশিতে মজো,
মা আসবেন কৈলাস থেকে সাথে কার্তিক লক্ষী,
সরস্বতী আর শ্রীগণেশ এখানেই তারশেষ কি?
মা দুর্গারসিংহবাহন সে না এলে চলে?
অসুর কে বাদ যদি দাও জমবে না তাহলে।
গণেশের বাহন ইঁদুর হংস স্বরস্বতীর
কার্তিকের বাহন ময়ূর পেঁচা হলো লক্ষ্মীর।
মা দুর্গাদশটি হাতে দশপ্রহরন ধরেন,
ত্রিশূল দিয়ে অসুরকে যে দুর্গা মা বধকরেন।
কার্তিক তো চিরকুমার গণেশের কলা বউ,
মনে হয় এই ব্যাপারটা অজানা নয় কেউ।
দুর্গা মাকে দেখতে আসে হাজার হাজার ভক্ত,
মাকে দেখে হয় তো তারা ভক্তিভাবে লিপ্ত।
মা মাত্র চারটি দিন থাকেন এ ধরায়,
মায়ের বিদায়েশত লোকের অশ্রু দেখা যায়।।
ছেলেটি আর মেয়েটির কিছু দিনের বন্ধুত্ব।
একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন করলো কিছুক্ষন কথা বলার পর ছেলেটি দেখা করতে চাইল তার কথায় রাজি হয়ে মেয়েটি তার পরের দিন দেখা করতে আসলো একটি রেস্টুরেন্টে ।ছেলেটি সেদিন একটি গোলাপের চারা লাগলো তার বাড়িতে।
সেদিন ছেলেটি মেয়েটিকে বললো আমি তোমায় ভালোবাসি......
মেয়েটি কথাটি শুনে অবাক হলো সে কিছু না জানিয়ে বাড়ি চলে গেল।
বাড়ি ফিরে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করলো ছেলেটির সম্মন্ধে,
বান্ধবীরা বললো ভালোবাসে বলেছে নিশ্চই এর পিছনে কোনো কারণ আছে ।
তুই জিজ্ঞাসা করবি কাল গিয়ে কি কারণ । তাদের কথা শুনে মেয়েটি যথারীতি পরের দিন দেখা করে ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করলো ।
তুমি আমায় ভালোবাসো তার কারণ কি ? আমি সুন্দরী তাই ?
ছেলেটি বললো তোমার থেকে অনেক বেশি সুন্দরী নিশ্চয়ই আছে ।
মেয়েটি বললো তাহলে কি আমার বাবার অনেক অর্থ তাই ?
ছেলেটি বললো তোমার বাবার থেকে আরো অনেক বড়লোক এই শহরে নিশ্চয় আছে ।
মেয়েটি বললো তাহলে কি আমি শিক্ষিত, গুণবতী তাই ?
ছেলেটি বললো তোমার থেকে কি আর বেশী কেও শিক্ষিত নেই ?
মেয়েটি বললো তাহলে কেন তুমি আমায় ভালোবাসো ?
ছেলেটি বললো ভালোবাসি ভালোবাসি
তার তো কোনো কারণ নেই , কাউকে কি ভালোবাসতে গেলে কোনো কারণ লাগে?
কি জানি বাপু, কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসতে গেলে তো কোনো কারণ লাগে না ।
মেয়েটি বললো আচ্ছা তুমি কি আমার কাছ থেকে কিছু চাও ?
ছেলেটি বললো তাও নয় ভালোবেসে আমি শুধু দিতে জানি চাইতে নয় ।
আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি আর ভালোবাসবো।
তার বদলে তোমায় কিছুই দিতে হবে না, এমনকি তোমার কাছ থেকে ভালোবাসাও চাইবো না।
এরপর তারা বাড়ি ফিরে এলো ছেলেটির কথা গুলো মেয়েটির মস্তিষ্কে ভালোবাসার রসদ যুগিয়ে বেড়াচ্ছিল।
সে তার বান্ধবীদের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করলে, বান্ধবীরা জানায় কারণ ছাড়া ভালোবাসা সেটা আবার কেমন, ধুর এখনকার দিনে এসব হয় নাকি ।
নিশ্চয় কোনো মতলব আছে ।
পরের দিন মেয়েটি ছেলেটির সাথে আবার দেখা করলো । আজকে ছেলেটির গোলাপ গাছে একটি কুঁড়ি ধরেছে ।
তারা আজকে একটি নদীর পাড়ে গিয়ে বসেছে গল্প করতে করতে হটাৎই মেয়েটি বললো তুমি আমার কাছ থেকে কি চাও?
ছেলেটি বললো ভালোবাসার বদলে আমি তো কখনো কিছু চাইনি।
মেয়েটি বললো যদি আমার কাছে তোমার কিছু চাওয়ার না থাকে তাহলে তো একদিন আমি হারিয়ে যাব ।
ছেলেটি বললো তোমাকে আমি কখনো পেয়েছি নাকি তাই হারানোর ভয় পাবো।
মেয়েটি সারাদিন ভাবে ছেলেটির কথা সে তার বান্ধবীদের জানিয়েছে, ছেলেটি অনেক আলাদা, সবার থেকে অনেক আলাদা ।
এইভাবে তাদের মেলামেশা বাড়তে থাকে ,আর মেয়েটি আস্তে আস্তে ছেলেটিকে ভালোবেসে ফেলে।
ছেলেটি একদিন জানায় যে সে বাঁশি বাজাতে খুব ভালোবাসে রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে যায় সে তখন বাঁশি বজায়, আর তার বাঁশির সুরে মেয়েটি নাচে।
মেয়েটি শুনে হেসেছিল বললো এটা তোমার স্বপ্ন বুঝি ?
ছেলেটি বলেছিল হুঁ, বাস্তবে যাকে ধরা যায়না স্বপ্নে তাকে অনায়াসেই ধরা যায়, বাস্তব যেখানে শেষ হয়, স্বপ্ন সেখান থেকেই শুরু হয় ,তাই আমি স্বপ্ন দেখতে খুব ভালোবাসি।
মেয়েটি বললো ঠিক আছে তোমার বাঁশি একদিন শুনবো।
পরের দিন ছেলেটির গোলাপের কুঁড়িটি ফুলে পরিণত হয়েছে দেখে সে খুব খুশি হয়েছে
এই প্রথম ফুলটা সে তার ভালোবাসাকে দিতে চায়, তাই সাথে করে নিয়ে গেল আর নিলো তার বাঁশি।
আজকে মেয়েটি তার বাঁশি শুনলো মুগ্ধ হয়ে।
মেয়েটি বললো তুমি অনেক সুন্দর বাঁশি বাজাও।
আর জিজ্ঞাসা করলো কাল ও কি স্বপ্ন দেখেছিলে?
ছেলেটি বললো, হ্যাঁ... আমি রোজ স্বপ্ন দেখি রোজ। ডাক্তার বলেছে স্বপ্ন দেখে দেখে আমার মাথার শিরা উপশিরা গুলো জট পাকিয়ে গেছে এখন স্বপ্ন দেখতে গেলে আমার মাথায় তীব্র যন্ত্রনা হয়।
মেয়েটি বললো তাহলে দেখো কেন ?
ছেলেটি বললো স্বপ্নই তো আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে।
মেয়েটি খুব অবাক হলো বাড়ি ফিরে তার বান্ধবীদের ব্যাপারটি জানালে তারা বলে পাগল একটা।
তুই আর কাজ পেলি না শেষে একটা পাগলের প্রেমে পড়লি এর থেকে তো তোর দাদার বন্ধু ভালো ছিলো শুনলাম নাকি সে রিসার্চ করতে কানাডা যাচ্ছে এখনো সময় আছে ছেড়ে দে।
বান্ধবীদের এই কথা শুনে মেয়েটি পরের দিনই ছেলেটির কাছে গিয়ে বললো
তোমায় স্বপ্ন দেখা ছাড়তে হবে,তোমায় ভালো হতে হবে, আর নাহলে আমায় ছাড়তে হবে।
ছেলেটি জানালো আমি স্বপ্ন দেখা ছাড়তে পারবো না । আর তোমায়, তোমায় তো আমি কখনো নিজের করে পাইনি তো কি হারাবো!
আমি শুধু ভালোবেসে ছিলাম কোনোকিছু চাইতে নয়।
এটি শুনে মেয়েটি রাগ করে তার কাছ থেকে বিদায় নিল।
কিছুদিন পর কানাডাগামী দাদার বন্ধুর সাথে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হলো।
আজ মেয়েটির বিয়ে ।
আর ছেলেটির আজ বাঁচার পরীক্ষা ছেলেটির যে ব্রেন ক্যান্সার ছিল মেয়েটি জানতো না।
আজ তারই অপারেশন।
মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেল।
দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে আজ ছেলেটি হেরে গেল।
মৃত্যু তার জীবন কেড়ে নিল।
আর অন্যদিকে মেয়েটি আজ হানিমুন-এ যাওয়ার জন্যে দিল্লিগামী প্লেনে চড়ে বসলো।
যাওয়ার আগে সে তার বান্ধবীদের বলে গেল।
স্বপ্নের থেকে বাস্তব অনেক সত্যি রে আর অনেক বেশি সুন্দর। স্বপ্নকে নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারেনা রে তাই সমস্ত স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়,
শুধু নিস্তব্ধ রাতে কারোর চিন্তায় যদি চোখ দিয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে আসে সেটা মুছতে গিয়ে মনে হয় না ,ওটা স্বপ্ন ছিল ।
তারপর শুরু হলো মেয়েটির সুখী দাম্পত্য জীবন।
ছেলেটির সেই গোলাপ চারাটি ততদিনে জল আর ভালোবাসার অভাবে শুকনো মৃত। ছেলেটির মা চারাটি তুলে ফেলে দিলো টবে কিছু পোকা পড়ে ছিল,
সেগুলো কি পোকা?
নাকি ছেলেটির সাজানো স্বপ্ন?
আমি জানি না।
অফিসের 'আশিস' বাবু,
পাড়ায়-পরিবারে 'দুলু'।
তাঁর পুত্র -'রাহুল', 'রাজ'
আর রয়েছেন স্ত্রী- 'বুলু'।
পরিবারে,পাড়ায়,ক্লাবে
আসলে কোন সমস্যা।
এত চিন্তা করছ কেন?
দুলুদাই মোদের ভরসা।
পুজো, খেলা, অসুস্থতা,
সকল বিষয়ে উদ্যোগী।
ওনার মত পায়নি তো,
এমন নিঃস্বার্থ সহযোগী।
যতদিন ছিলেন তিনি,
পেয়েছি তাকে পাশে।
নিন্দুকেরাও সানন্দে,
তাঁকে তো ভালোবাসে।
পরোপকারী তিনি, কর্মে
সদাই তো থাকতেন ব্যস্ত।
রোগশয্যায় নিভল প্রদীপ,
বেদনা হয় অশ্রুতে ব্যক্ত।
কর্মজীবনে ছিলেন কর্মঠ,
ছিল না তো কোন ক্লান্তি।
ওনার বিদেহী আত্মার,
কামনা করি চিরশান্তি।
'১৬ই জুলাই' বছরপূর্তি,
কেটে গেছে বারো মাস।
কাজের ব্যস্ততা মাঝেই
প্রিয়জনদের দীর্ঘশ্বাস!
হৃদয়ের গভীরে বেদনা,
রয়েছে বেদনার্ত স্মৃতি।
ভুলতে চেয়েও পারে না,
হয় নাতো এসবের ইতি।
পরলোকে গমন করলেও
তিনি যেন মোদের মাঝে।
ওনার বিষয়ে আমাদের,
সত্যি গর্ব করাই সাজে।
বাৎসরিক কাজ সম্পন্ন,
নতুনরূপে শুরু সংসার।
সুখ, আনন্দ সবকিছুতে
ভরে উঠবে তো আবার।
সৃষ্টির উল্লাসে রঙ তুলি
বোলাতে ব্যাস্ত সৃষ্টিকর্তা
কার জন্য সৃষ্টি -----
সে কি কেবল নিজের তাগিদে ?
তাগিদ বড়ো বালাই :
এর পিছনেই যত রহস্য
ভালোলাগা ভালোলাগানো
এই নিয়েই চলছে খেলা
এক সময় খেলা আর খেলা থাকছে না l
জন্ম নিচ্ছে স্বার্থ -----
হতে পারে ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ
লক্ষ্য কিন্তু অমরত্ব l
অমরত্ব আবার এমন এক মোহ
যা কেবলই ক্রমবর্ধমান
বাড়তে বাড়তে ছেদ আসে
একসময় হটাতই ----
এর নামই বোধহয়
আবহমানের পুনরাবৃত্তি
নামহীন।
চলো না, কোনো এক বেদুইনদের শহরে হারিয়ে যাই!
ওখানে কোনো বাঁধা ধরা ঘড়ির কাঁটা তোমার ঘুম ভাঙাবে না,
অফিস কাছারি সব নেহাতই নামমাত্র;
পরিচিত ভিড়ের ডাকে আমায় ছেড়ে যাওয়ার ভয় নেই;
হঠাৎ বৃষ্টিতে তোমার সাথে সমস্তটা ভিজে যাওয়ার বারণ ও নেই!
জানা অজানায় তোমায় ছুঁয়ে দেখায় মানা নেই!
দুটো আঙুলের বাঁধনের ফাঁকে ভোরের শিশির এসে ভিজিয়ে দিক;
রবির প্রথম সোনার ঝলকে শিশির টা তোমার আমার নাম লিখে যাক ঘাসগুলোর গায়ে!
ডানা ভেজা জলফড়িং টার আলতো ছোঁয়ায় আমার চিবুকে বিন্দু বিন্দু জল রেখে যাক
চুম্বনের দাবি!
বিশ্বাস করো, এই সংগোপন কারোর জানা নয়!
অকারণের আবদার মাত্র;
কাপ-প্লেটের ঘ্যানঘ্যান, রাস্তার হাজার ও শব্দদূষণ, ল্যাপটপের ওই একঘেয়ে ঠিকরে আসা সাদা আলো, কিচ্ছু নেই!
ওখানে একটা আকাশ থাকবে খালি;
রাতের বেলায় থাকুক একটা জমাট করা কালো;
ঘর বাড়ি ইঁট পাথরের নির্বাক পঙ্গুত্ব নেই;
আছে একটা সবুজ প্রশান্তি;
আর একটা মস্ত অন্ত হীন !
এর ই মাঝে তোমার ওই কাঁধে আমার নির্ঘুম চোখের জলটা যখন একটু জায়গা খুঁজে নিয়েছে--
তখন আদিম শুকতারা টা আবার বলে যাক, তুমি কেবল আমারই,
সে হলাম না হয় তুমি আমি বেদুইন!
মাথার উপর দুপুর গ্রীষ্মের সূর্য,
হীরক দ্যুতি ছড়ায় রিমিঝিম ঘামে।
চাবির গোছা নিয়ে এলে হাটের মাঝে,
জড়ো হল অচল তালা গোছার মুখে।
দক্ষ হাতে কর সমাধান, দাও তুলে
মাপ নিয়ে কেটে কর সচল এ তালা,
নকল যুগে নকল চাবি, মুক্ত তালা।
অর্থ নিয়ে কষিয়ে দিলে চাবুকা ঘাত,
ভীষণ মজা পেলে তুমি এই খেলায়,
উদর পূরণ অভিনয়ের মেলায়।
ফুরসত নেই ছেড়ো না, বোকা পেটুক
দু মিনিটে হাতের জাদু হল কামাল।
পড়ে থাকা বাঁশি নকল চাবি দণ্ডের,
নখের পেলবে শিস দিয়ে জেগে ওঠে।
প্রশংসাটা খুব ভাইটাল,
সবার কাছে।
এমনকি ব্যর্থ, হতাশাগ্রস্থ
মানুষটার কাছেও।
এই সেদিনও মুখ ঘুরিয়ে
ঘুরত পথে, ঘাটে।
দেখা হলেই -
সেই চেনা, দায়সারা জবাব
ভালো তো?
সৌজন্যের মোড়কে -
লুকিয়ে ফেরা।
কোথাও যেন টোল খেয়ে গেছে
আত্মবিশ্বাস।
আসলে সবই দশা, অন্তর্দশার-
সাড়ে সাতি যোগ।
জ্যোতিষীর ঘরে ঘুরে ঘুরে -
হদ্দ, শ্রান্ত,ক্লান্ত,অবসন্ন।
অথচ জটে আটকে থাকা-
যোগ? আজ বাস্তবায়িত।
খোটা দেওয়া মানুষগুলো
আজ কেমন চুপসে গেছে।
আর যারা ডরায় না?
সাদা কে সাদা, কালো কে কালো বলতে?
স্মিত হেসে বলে-
সাবাশ! সাবাশ! সাবাশ!
কিন্তু, অসময়ে?
চাই সুহৃদ।
সত্যি, সত্যিকারের সুহৃদ।
ছোট্ট প্রশংসা যেন কুলোর বাতাস
বাঁচার জিয়নকাঠি।
অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে ছোট্ট কুটির গড়া
খড়িমাটির আলপনা ছোঁয়া হেমবর্মে মোড়া ।
উঠোন ঘিরে ছায়ার মায়ায় জামগাছ লিচুগাছ
চড়ুই পাখির চু-কিতকিত ফিঙে পাখির নাচ।
পুবের অহিমরশ্মি যখন ছড়ায় পুকুরধারে
আধফোটা শালুকদলে শিশির চুঁইয়ে পড়ে।
ধানের গোলায় প্রমাদ গোনে সিদ্ধিদাতার বাহন
গাঁয়ের বধু শোনায় ডেকে নবান্নের সাতকাহন।
সত্যি এমন মনোরম এক বাটীর খোঁজ পেলে
যক্ষপুরীর দুয়ার ভাঙার গান বাঁধবো হৃদয় ঢেলে।
She saw me lying and sweating under the sky that morning because I was alive. She is like the morning breeze, freshening mine mind from all kind of sins. She used to go straight towards east as sun rises in the east, the only universal truth she knew. To me truths are just too much complicated. Religions are complicated too. That's why I don't like to get attached to the almighty as I didn't get a chance to talk to him ever. That almighty never saw me sweating and that's why she couldn't understand the way through which I love to fit in every little things. She is the only reason I recovered that morning.
I had felt her cheek in my palms that morning and realized herself as the only truth. I think that is love, the only universal truth I can bear...
ভোরের আলো মেখে বাসে উঠে বেড়িয়ে পড়া...
একটা নগ্ন সকাল আমার পোশাক ধার চায়।
আমি অজান্তেই সবটুকু সঁপে দিই যাযাবরী কলিজায়।
আমার শরীরে-মনে-প্রাণে শহুরে মানুষটির
সফিস্টিকেশনের উগ্র গন্ধ লাগবে ভেবে ভীত!
এমনসময় রঙরুটের মানুষটা জোনাকি হয়ে এল আমার ওড়নায়...
একরাশ আনন্দ আর পুনরুজ্জীবনের মন্ত্র দিয়ে আমার কানে,
আবারও চলে গেল শহুরে দুনিয়ায়।
প্রশমিত হৃদয়ে যন্ত্রণার তীর বিঁধেছিল
নির্লজ্জ প্রেমিকা ছদ্মবেশী রুপ নিয়ে।
নূপুরের শব্দে শিহরণ জাগাত হৃদ মাঝারে,
আর বিনিদ্র হতাম মৃদু নিঃশ্বাসের আঘাতে।
আজ আর মনে নেই সেই বাদ্যযন্ত্রের সুর
নিঃশ্বাসের শব্দও ক্ষীন হয়ে আসে,
আলোর অস্পষ্টায় জ্বলে না মায়ার প্রদীপ,
বাজে না সেতার সংগীত এর তালে।
তাই আজ সন্ধার জনস্রোতে অকুণ্ঠচিত্ত হৃদয়
খোঁজে না নিরিবিলি রাতের আশ্রয়।
তবে থেমে নেই ভালোবাসা তোমার প্রতি,
সে তো বেঁচে আছে দু-নয়নের অশ্রুধারায়।
গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত অসহ্য রোদ্দুর,
প্রাণ জুড়োবার জায়গা কোথায়, দূরে সমুদ্দুর।
দুপুরবেলা গাছেরতলা নয়তো পুকুরপাড়,
একটুখানি স্বস্তি মেলে গর্মি দেয়না ছাড়।
দাপট এখন ওরই বেশি, সাথে যে বৈশাখ,
তৃষ্ণাতে জল খুঁজে বেড়ায়, পরিশ্রান্ত কাক।
অন্য পাখি পাতার আড়ে চুপটি করে রয়,
আমরা যেমন সহ্য করি, ওরাও কষ্ট সয়।
মেঘের আনাগোনা হলে, কমে রোদের তাপ,
তা না হলে ওর প্রভাবে মলিনতার ছাপ।
কারো রেহাই মেলে নাকো, কুকুরও কাতরায়,
লম্বা জিহ্বা বের করে সে শান্তি খুঁজে পায়।
স্নানের সময় পুকুর ডোবায় ঘন্টাখানেক ডুব,
দেরি হলে চোখ রাঙানি শাস্তি জোটে খুব।
বিকেল হলে দখিন হাওয়া স্বস্তি এনে দেয়,
বেরিয়ে যাবার জন্য তখন সময় করে নেয়।
মেঘলা আকাশ ঝড়-বাদলের আশায় বসে রই,
আম কুড়োবার জন্য তখন আমাদের হইচই।
প্রকৃতির ঋতু রঙ্গচক্রে
গ্রীষ্মের আগমন হয়,
বসন্তের সকলি মধুরিমা হরি
করাল মূর্তি লয়।
দিকে দিকে ওই
প্রান্তর ধূ ধূ চৌচির কাতরা,
অমৃত সুধার তরে ধরণী
আজিকে পাগল পারা।
তপন তাপে দগ্ধ বসুধা
চারিদিক খাঁ খাঁ করে,
পথে ঘাটে বাটে পথিক সকল
তৃষ্ণায় ফেটে পড়ে।
প্রখর তাপে লু বয়ে যায়
তন মন জ্বালা ময়,
অসহনীয় এ দাবদাহে
কত প্রাণহানি হয়।
প্রকৃতি যেন রুক্ষ আজিকে
শ্যামলিমা হারায়,
মূক প্রানীরা জলাভাবে পথে
অচেতন পড়ে রয়।
এ.সি .কুলার ফ্রিজ চলেনা
যে দীনের গগন তলে,
দিবানিশি যেন শরীরে তাদের
বহ্নিশিখা জ্বলে।
পুষ্প পত্র বৃক্ষ শাখে
নাই কো খুশির দোল,
জন মানব পশু পক্ষী কূলে
ত্রাহি ত্রাহি শুধু বোল।
কোকিলের ওই
কুহু কুহু তান নাই কো আজি মনে,
তন মন প্রাণ শ্রান্ত আজিকে
সূর্যদেবের অগ্নিবাণে।
হারিয়ে গেছে সুরমূর্ছনা
তপ্ত চৈত্র বেলায়,
অনলবাণে হৃদে যেন বাজে
ক্ষমা করো এই বেলা।
বিভীষিকাময় প্রকৃতির রূপ
আজি হেরিতে আর নারি,
তৃষিত ধরারে সিক্ত করিতে
নামুক বর্ষা বারি।