চল বন্ধু আবার একমুঠো রোদ্দুর কুড়োই,
রাতের আকাশে অবিরাম তারা গোনা
আমাদের সেই পুরানো গল্পকথা খেলা।
চল না আবার একবার হারিয়ে যাই ঠিক আগের মতো।
জীবন স্রোতের জোয়ার-ভাঁটা কখনও পলি ফেলে করেছে উর্বর
কখনও বা গ্রাস করেছে সর্বস্ব।
কতকটা যেন দুজনেই আঁকড়ে ধরে রেখেছি,
যে গল্পটা বছর পুরানো তাকে ভাসতে দেই নি স্রোতের টানে।
মুক্ত আকাশের স্বপ্নে বিভোর যে পাখি ওড়া ভুলেছিল অনভ্যাসে,
তাকে ডানা মেলতে শিখিয়েছিস তুই নির্ভয়ে...
সেই কোন ছেলেবেলায় ঘুমুরের প্রতিধ্বনিতে তালে তাল মিলিয়েছিল যে দু-জোড়া পা,
জীবনের প্রতিটি পদে তা ছন্দ পরিবর্তন করেছে একসাথে।
বন্ধু ফিরবি আর একটিবার,ব্যস্ততা ভুলে আবার বানাবো আমাদের পুরানো শিশমহল।
ফিরে দেখ মাঝপথে ফেলে আসা কিশোরী দুটি আজও আমদের অপেক্ষায় বসে।
মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নেরা
আজও পাইনি ঠিকানা,
কত পথ হেঁটে এসেও পথ যে রয়ে গেল অচেনা l
রং- ছায়ার মাঝে বুক ফাটা কান্নারা
জেনে নেয় জীবনের মানে l
জীবন নোঙ্গর টানে জীবন ছুটে আসে
খড় কুটো চাপা জীর্ণ ভিটায় l
আলগোছা চুলের ফাঁকে সোহাগী আঙুলের ঘ্রান
বেলা শেষে চেটে পুটে খাওয়া ,
চোখের পরতে পরতে সাদা কালো ছবি গুলো
মনের কোণেতে জ্বালে রং মশাল l
সূর্যের ওঠা নামা প্রহর গুনে গুনে
জীবন জানে না এ খেলা ,
নির্জন ঢাল বেয়ে শুধুই গড়িয়ে চলা
বেনামি দ্বীপের দিকে l
ছায়া হয়েছো শরীরের
অঙ্কুর মজুমদার
আর মাত্র দু'মাস তারপর আবার দেওয়ালপঞ্জিকা বদলে যাবে,অঙ্কুর মজুমদার
তুমি অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে যাবে আমাকে ছাড়া থাকতে
আমার হাতঘড়ির কাঁটাগুলো ইদানিং আর এগোতে পারেনা,
কেমন যেন থমকে আছে তোমায় ভেবে...
আমি ভীষণরকম চেষ্টা করছি নানান ভাবে তোমার আড়াল হতে
তবুও তুমি আশেপাশে অপেক্ষার গন্ধে মধ্যে মধ্যেই ঘোরাফেরা করছো
আমার মনে হয়, তুমি এখন ছায়া হয়েছো শরীরের...
ছায়া হয়েছো মনের...